স্বাভাবিক যৌন মিলনের গর্ভধারণে অক্ষমতায় – আই ভি এফ বর্তমান কালের একটি জনপ্রিয় বিকল্প । বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসাতেও এর সহায়তা নেয়া হয় ।
আই ভি এফ (IVF- in vitro fertilisation) – গর্ভ ধারণের অন্যতম আধুনিক বিকল্প প্রক্রিয়া যেখানে – মানব দেহের বাইরে গবেষনাগারে ডিম্বাণু আর শুক্রাণুর মিলন ঘটিয়ে নিষিক্ত ডিম্বাণুকে (Embtyo) স্ত্রীর শরীরে প্রতিস্থাপন করানো হয় যাতে স্ত্রী গর্ভ ধারণ (conceive) করেন।
পরিসংখ্যান মতে – এই পদ্ধতিতে গর্ভধারণে (conceive) সাফল্য প্রতি ৫ জন্যে ১ জন । সাফল্যের এই হার ৩৫-এর নিচের বয়সের মায়েদের ক্ষেত্রে অধিক কিন্তু বয়স্ক মেয়েদের জন্য কম। এটি একটি সময় সাপেক্ষ উচ্চ -খরচ সমৃদ্ধ চিকিৎসা প্রক্রিয়া যা অনেক সময় মানসিক এবং শারীরিক চাপেরও কারণ হতে পারে ।
ধাপ সমূহ :
১) বিশেষ ইনজেকশন (অথবা নাকের বিশেষ স্প্রে )-এর মাধ্যমে স্ত্রীর স্বাভাবিক ঋতুচক্র অস্থায়ী ভাবে বন্ধ রাখা হয়,
২) Fertility হরমোন ইনজেকশন দিয়ে ওভারি-কে উজ্জীবিত করা হয় একের অধিক ডিম্বাণু উৎপাদনের জন্য,
৩) পরিপক্কতা লাভের পর স্ত্রীর ওভারি থেকে (আলট্রা সাউন্ড-এর সহায়তায়) ডিম্বাণুগুলো সূক্ষ্ম সুঁই-এর (fine needle) সাহায্যে সংগৃহিত হয় ।
৪) সংগৃহিত ডিম্বাণু ল্যাবরেটরিতে স্বামীর প্রদত্ত শুক্রাণু দ্বারা নিষিক্ত করা হয়
৫) নিষিক্ত ডিম্বাণু (Embryo)-কে কিছুদিন গবেষণাগারের ইনকিউবিটরে রেখে পুষ্ট করা হয়
৬) বিশেষ পাতলা টিউব স্ত্রীর যোনি পথে (vagina) সার্ভিক্স- এ ঢুকিয়ে এক বা একাধিক সবল নিষিক্ত ডিম্বাণু (Embryo) -কে স্ত্রীর গর্ভাশয়ে (Ovary) স্থাপন করা হয় ।
– স্থাপিত নিষিক্ত ডিম্বাণু (Embryo) অন্তত একটিও যদি শরীরে সফলভাবে গৃহীত হয় … তাহলেই স্ত্রী গর্ভধারন (conceive) করবে যা ২ সপ্তাহ পর ‘প্রেগন্যান্সি টেস্ট’ দ্বারা বোঝা যাবে । অব্যবহৃত সবল নিষিক্ত ডিম্বাণু (Embryo) ভবিষ্যতের জন্য হিমাগারে রেখে দেয়া হয় ।
– সফলতার জন্য ক্ষেত্র বিশেষে IVF-এর সম্পূর্ণ চক্র একাধিক বার অনুসরণের দরকার হয় ।
==========================================================
# আরো বিস্তারিত জানতে ivf-এর উপর ওয়েব সাইট গুলোতে ব্রাউস করতে পারেন। যেমন
https://www.pregnancybirthbaby.org.au/ivf
(Disclaimer- এই প্রতিষ্ঠান সমূহের সাথে আমাদের ওয়েব সাইট-এর কোনো সম্পর্ক নেই। . কেবল মাত্র জ্ঞান অর্জনের জন্যই উদাহরণ হিসাবে আমরা এদের ওয়েব সাইট উল্লেখ করছি)